Saturday, October 17, 2015

!!!-আমাদের মিলন হলো না-চলে গেলাম জাহান্নামে-!!!

"পরজনমে মিলনের আশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন রাজশাহীর প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল-গতকাল দপুরে নগরীর চণ্ডীপুরে প্রেমিকা শারমিন খাতুনের রুম থেকে ওই যুগলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ-এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়-তাতে লিখা ছিল-আমরা দুজন দুজনকে ভালবাসি-কিন্তু আমাদের মিলন হলো না-পরজনমে মিলনের আশায় আমরা চলে গেলাম-আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়-মৃত্যুর পরে আমাদের দুজনের কবর যেন একসাথে দেয়া হয়-বাসার মালিক ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন-ওরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসার দোতলায় একটি রুম ভাড়া নিয়েছিল-তবে শারমিনের পিতার দাবি-তার মেয়েকে তিনি নিজেই বাসা খুঁজে দিয়েছিলেন-সঙ্গে
কেউ থাকতো না-এছাড়া মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া
চিরকুটটি তার মেয়ের হাতের লেখা না-ছেলে বা অন্য কেউ তার মেয়েকে হত্যা করেছে-এছাড়া আব্দুল মোমিনের বন্ধু ইসলামী
ব্যাংক নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী শাহীন আলম মানবজমিনকে
জানান-মোমিন ওই বাড়িরই নিচতলায় ভাড়া থাকতেন-কখনও
প্রেমিকার কথা আমাদের কাছে বলেনি-নিহত শারমিন (-১৯-) পবা উপজেলার দামকুড়া শিতলাই এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে এবং রাজশাহী ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী-অন্যদিকে আব্দুল মোমিনের (-২২-) বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার চকরধিনাথ গ্রামে-তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল নার্সিং কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে-স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান-শুক্রবার রাত থেকে তাদের ঘরের দরজা বন্ধ থাকতে দেখা যায়-শারিমন খাতুনের পরিবারের লোকজনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না-এ অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে দেখতে পান ঘরের মধ্যে মোমিনের লাশ ঝুলে আছে-আর শারমিনের লাশ জানালার পাশে ঘরের এক কোনায় অর্ধেকাংশ খাড়া হয়ে এবং অর্ধেকাংশ মেঝেতে পড়ে আছে-বাড়ি মালিক সোনালী খাতুন
মানবজমিনকে জানান-দুই মাস আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ির দোতলায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতো তারা-সেভাবে কোন খোঁজ-খবর নেয়া হয়নি-তবে মেয়ের বাবা মাঝে মাঝে আসতেন-গত শুক্রবার বিকালে তিনি এসেছিলেন বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি-অন্যদিকে শারমিনের পিতা দাবি করেছেন-মেয়েকে তিনি নিজেই বাসা খুঁজে দিয়েছেন-বৃহস্পতিবার সকালেও এসে হাত খরচের টাকা দিয়ে যান-আজকে (-শনিবার-) রুম ভাড়ার টাকা দিতে এসে দেখেন ঘরের এক কোনায় মেয়ের লাশ পড়ে আছে আর ছেলের লাশ ঘরের মাঝে ঝুলছে-তারা একসঙ্গে থাকতো না-ওই ছেলের কথাও
তিনি কখনো শুনেননি-তিনি আরও বলেন-মৃতদেহের পাশ থেকে
উদ্ধার হওয়া চিরকুট তার মেয়ের হাতের লেখা না-ছেলে বা অন্য কেউ তাকে হত্যা করেছে-ওই চিরকুটটি তার ছোট শ্যালক আতিকুল শারমিনের লেখার সাথে মিলিয়ে দেখেছে-তিনি নিজে অশিক্ষিত হলেও মেয়েকে শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী করতে চেয়েছিলেন-কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না-মেয়ের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাকে-রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন-প্রাথমিকভাবে দুজনেই প্রেমঘটিত কারণে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে-তবে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে-রিপোর্ট হাতে পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে-রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন-ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট এবং ওই কক্ষের ভেতর থেকে আলামত হিসেবে একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে-তবে চিরকুটটি কার হাতের লেখা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি-প্রাথমিকভাবে শারমিনকে হত্যার পর তার প্রেমিক মোমিন আত্মহত্যা করতে পারে- এমন ধারণা খতিয়ে দেখা হচ্ছে-এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কিভাবে তারা মারা গেছে-!!!